যাকাত বিপ্লব
লিখেছেন লিখেছেন শরীফ ঝিনুক ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:১০:৪০ দুপুর
দেশে বার্ষিক খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টন। আমরা যদি তিন কোটি টন ধরি তাহলে ১/২০ ভাগ হারে (সম্পূর্ণ সেচের আওতায় ধরে) ১৫ লক্ষ টন খাদ্য যাকাত হিসাবে আদায় করা সম্ভব। আমাদের মাথাপিছু খাদ্য চাহিদা দৈনিক ৪৮৯ গ্রাম অর্থাৎ বার্ষিক প্রায় ১৮০ গ্রাম। তাহলে উসুলকৃত খাদ্যশস্য দিয়ে প্রতিবছর ৮০ লক্ষ অতিদরিদ্র মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
আমাদের বার্ষিক ফল উৎপাদন ২১ লক্ষ টন। সুতরাং আমরা প্রায় ১ লক্ষ টন ফল যাকাত পেতে পারি। মাথাপিছু দৈনিক ফলের চাহিদা ৮৫-১০০ গ্রাম, বছরে যা দাঁড়ায় ৩৫-৪০ কেজি। যাকাতের ১ লক্ষ টন দিয়ে ২৫ লাখ মানুষের ফলের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে বৈধ কোটিপতির সংখ্যা ২৩,৩১০ জন। তালিকায় স্থান না পাওয়া বৈধ কোটিপতি আছে আরো অনেক। এছাড়া অবৈধ কোটি টাকার মালিকের সংখ্যাটাও কম হবে না।অবৈধ, তালিকা বহির্ভূত বাদে বৈধ কোটিপতির কথাই ধরি। প্রত্যেকের সর্বোচ্চ কত টাকা আছে তা বলা মুশকিল। তাই উপরের অংক বাদ দিলাম। অন্যূন ১ কোটি করে টাকা এই ২৩,৩১০ জন মানুষের আছে। প্রতি কোটিতে ২.৫ লক্ষ হারে মোট ৫০০ শ ৮২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা যাকাত আদায় করা সম্ভব।
দেশে লাখপতির সংখ্যা কত তা জানা যায়নি। যদি ২০ লাখ হয় তাহলে মোট অর্থ দাঁড়ায় (প্রত্যেকের মাত্র ১ লাখ ধরে) ২০ হাজার কোটি টাকা। এথেকে গৃহীত যাকাতের পরিমাণ হয় ৫ শ কোটি টাকা। তাহলে বার্ষিক যাকাত হিসাবে প্রায় ১১ শ কোটি টাকা আদায় করা যায়। এটাকা দিয়ে ফসল উৎপাদন, মৎস্য চাষ, নার্সারী। কবুতর, কোয়েল, হাঁস, মুরগী পালন, চা-মুদির দোকান, কুটির শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি বছর কয়েক লাখ পরিবারের দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। মাঝারী মানের শিল্প যেমন গুঁটি ইউরিয়া কারখানা, বেকারী, তাঁত, জুতা, প্লাস্টিক কারখানা প্রতিষ্ঠা করে একাধিক নিঃস্ব মানুষের মাঝে মালিকানা বন্টন করে দেয়া যেতে পারে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ট্রেনিং সেন্টার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এভাবে দশ বছরে ইনশা আল্লাহ দেশে বিপ্লব ঘটে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন